আমার কৃষি আমার সাফল্য

রাউজানে সূর্যমুখী চাষে নেজাম উদ্দিনের মুখে হাসি

আমির হামজা, রাউজান:: চট্টগ্রামের রাউজানে প্রথমবারে সূর্যমুখী চাষ করে কাঙ্ক্ষিত ফলন পেয়ে খুশি সৌখিন কৃষক নেজাম উদ্দিন। তার সূর্যমুখী বাগানে না গেলে বোঝাই যাবে না, কী অপূর্ব সুন্দর দৃশ্য। প্রতিদিন মানুষ তার সূর্যমুখী বাগানে এসে হাতে থাকা মোবাইলে মনের সুখে ছবি ও ভিডিও চিত্র ধারণ করছেন। সেটি আবার সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করছেন।

রাউজানের নেজাম উদ্দিনকে বলাযেতে পারে তিনি একজন সফল কৃষক। তিনি মাটিতে যে বীজ বপন করেন, সে মাটিতেই ভালো ফলন ফলে। সূর্যমুখী বাগানটি তার এ বছর প্রথম। উপজেলার গশ্চি গ্রাম তার বাড়ি। কাপ্তাই সড়কের পাশে অনাবাদি জমিতে তিনি এই সূর্যমুখী ফলের চাষ করেন। প্রায় দুই বিঘা জমির ওপর।

কাপ্তাই সকড় দিয়ে যাতায়াত কারি যাত্রীদের নজর কাড়ছে নেজাম উদ্দিনের সূর্যমুখী বাগান। সুযোগ পেলে গাড়ি থেকে নেমে ছবি তুলে নিচ্ছেন। তিনি সূর্যমুখী বাগান এর পাশাপাশি সরিষার ক্ষেত করেছেন। মিশ্র ফলন হিসেবে লাগানো হয়েছে উন্নত জাতের বাদাম।

সৌখিন কৃষক নেজাম উদ্দিন জানান, এ বছরই আমি সূর্যমুখীর চাষ করছি। রাউজানের সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর অনুপ্রেরণায় আমি এসব অনাবাদি জমি গুলোতে সূর্যমুখীসহ বিভিন্ন ফসলের আবাদ করছি। এই বীজ উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর থেকে দিয়েছে।  কৃষি কর্মকর্তারা প্রায় সময় এসে ক্ষেত দেখে যাচ্ছেন। অনেক পরামর্শ দিচ্ছেন। তাদের সহযোগিতায় কৃষি কাজে আরও বেশি উৎসাহ পাচ্ছি।

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর থেকে জানা গেছ, উপজেলায় প্রায় বিভিন্ন জায়গায় জমিতে এ সূর্যমুখী ফুলচাষ হচ্ছে। উপজেলার ১৪ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ভেতর এ ফুলের চাষ করা হচ্ছে। সূর্যমুখী ফুলের তেল খুবই উপকারী। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর থেকে প্রতিটি কৃষককে সূর্যমুখী ফুলের বীজ ও সার সরবরাহ করা হয়েছে।

Please follow and like us:

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button