আমার কৃষি আমার সাফল্য

রাউজানে প্রবাস ফেরত যুবকের কৃষিতে চমক

প্রবাস ফেরত জিয়াউর রহমানের সূর্যমুখী বাগের দৃশ্য

আমির হামজা, রাউজান: বিদেশ থেকে দেশে ফিরে এসে কৃষি খামার গড়ে এলাকায় তাক লাগিয়েছেন রাউজানের কদলপুর গ্রামের প্রবাস ফেরত যুবক মোহাম্মাদ জিয়াউর রহমান। বিদেশে থাকা অবস্থায় অনলাইনে কৃষি বিষয়ে একটি ট্রেনিং করেন তিনি গত পাঁচ মাস আগে দেশে চলে আসেন। দেশে আসার পর লেগে পড়েন কৃষিতে।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রবাস ফেরত জিয়াউর রহমান তাঁর বাড়ির পাশে কিছু পতিত জমি ও ধানি জমিতে স্মার্ট পদ্ধতিতে চাষ করেছেন বেশি কিছু ফলের। এখানে প্রায় ২ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী চাষ করা হয়েছে।

সড়কের পাশে তাঁর সূর্যমুখী বাগান সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময়ে যাত্রীরা উপভোগ করছেন এই সৌন্দর্য। আর প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে এক নজর দেখতে আসছে দর্শনার্থীরা, এসে তারা ছবি তুলছে, সেটি আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপলোড করছেন।

দেশি-বিদেশি ও উন্নত জাতের শসা ও শাকসবজি রয়েছে তাঁর ক্ষেতে। লাগানো হয়েছে উন্নত জাতের তরমুজ রোপন করা তরমুজ গুলো আগামী কিছ দিনের মধ্যে বাজারে বিক্রির উপযোগী হবে।

এখানে চাষ করা জমি হতে ঘরে তুলায় হয়েছে সরিষার বীজ। কয়েক বিঘা জমিতে চাষ করা হয়েছে বিদেশী ফল সাম্মাম, রক মেলন, ক্যাপসিকাম মরিচ। এছাড়াও রয়েছে তাহের পুরী পেঁয়াজ, টমেটো, খিরা, শসা ও দেশি শাকসবজির চাষ। প্রায় তিনি ৯ বিঘা জমিতে তিনি চাষাবাদ করেছেন।

এ সফলতা নিয়ে ৮নম্বর কদলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নিজাম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, প্রবাস ফেরত জিয়াউর রহমান আমার ইউনিয়নের গর্ব। তিনি দেশে চলে এসে কৃষিতে যে সফলতা দেখাচ্ছেন এটি আমাদের কৃষির জন্য বিশাল এক সুসংবাদ বলে আমি মনে করি। আমাদের রাউজানের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীও একজন কৃষি প্রেমী মানুষ। রাউজানের কৃষকদের জন্য তিনি কাজ করে যাচ্ছেন।

এ বিষয়ে কৃষক জিয়াউর রহমান বলেন, রাউজানের কৃষি বিভাগ ও স্থানীয় চেয়ারম্যানের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ ও সার-বীজ পেয়ে আমি এখন অভাবনীয় সাফল্যের স্বপ্ন দেখছি। তিনি বলেন আমি আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছি। আমার এসব চাষাবাদে সার, সেচ ও কীটনাশকের খরচ অনেক কম।

এখানে পোকা দমনে ব্যবহার হয়েছে হলুদ ফেরোমন ফাঁদ, হলুদ ফাঁদ, মালচিং ফিলিং ও জৈব সারের ব্যবহার। তাঁর কৃষি ক্ষেত পরিদর্শনে আসেন কদলপুরে মহিলা ইউপি সদস্য এনি বড়ুয়া ও যুবলীগের মো: জয়নাল আবেদীন বাবু।

এ ব্যাপারে রাউজান কৃষি বিভাগের (কদলপুর দায়িত্ব) উপ-সহকারী কৃষি অফিসার আহমদ শাহ বলেন, আমরা কৃষকদের সূর্যমুখী ও সরিষা আবাদ বৃদ্ধির জন্য যেমন উৎসাহ দিচ্ছি। কৃষিকাজে কৌশল সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট ভাবে ধারণা দিচ্ছি। রোগ বালাই থেকে কিভাবে রক্ষা করা যায় সেই সম্পর্কে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। তবে অল্প সময়ে কৃষিতে ফসল চাষাবাদ করে সফল হওয়া এমন দৃষ্টান্ত এখন প্রবাস ফেরত কদলপুরের জিয়াউর রহমান।

Please follow and like us:

Related Articles

Back to top button