তথ্যপ্রযুক্তি

ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের গণমাধ্যমকর্মীদের অসামান্য অবদান রয়েছে-পলক

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:: ২০১৮ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনী ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের মাধ্যমে যে দিনবদলের সনদের ঘোষণা দিয়েছিলেন, তার ফলে জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়ার প্রচেষ্টায় নতুন এক মাত্রা যুক্ত হয়েছে।

ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা এবং জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের যে অঙ্গিকার দেওয়া হয়েছিল সেই লক্ষ্য পূরণে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এতে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে আজকের বাংলাদেশকে গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে। আজকে সারাদেশের শহর-গ্রামের সকল জনগণ এর সুফল ভোগ করছেন। এর ধারাবাহিকতায় আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে পৃথিবীর বুকে একটি উদ্ভাবনী বাংলাদেশ গড়ে তুলবো।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবন স্বপ্ন ছিল সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা। এ স্বপ্ন পূরণে সরকার কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি জনতা ও বাংলার মাটি ও মানুষকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে একই সাথে সংযুক্ত করতে পেরেছে।

ডিজিটাল সেবার মূল বিষয়টি হচ্ছে সরকারি সেবা প্রাপ্তির জন্য জনগণকে অফিসে অফিসে ছুটতে হবে না। বরং অফিসই তার সেবা পৌঁছে দিবে জনগণের দোরগোড়ায়। বাড়বে সেবার মান। কমবে সেবা পাওয়ার খরচ ও সময়। এমনই একটি দেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আজ তার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ বিনির্মাণ বাস্তবায়িত হচ্ছে তারই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের ফলে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ভাইয়ের দিকনির্দেশনায় ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কার্যক্রম দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে।

দুর্যোগ আর সংঘাতের বাংলাদেশ আজ বিশ্বব্যাপী পরিচিত হয়েছে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে। ২০০৮ এ ডিজিটাল বাংলাদেশের রোডম্যাপ ঘোষণার দশবছর পর ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ‘আমার গ্রাম-আমার শহর, সুশাসন ও তারুণ্যের শক্তি’ এই তিনটি বাতিঘরকেন্দ্রিক উন্নয়ন প্রচেষ্টার ঘোষণায় ডিজিটাল বিপ্লবের বাস্তবায়ন আরো গতিশীল হয়ে ওঠে। পূরণ হতে চলেছে ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কার্যক্রম।

করোনা মহামারিতে পুরো বিশ্ব যখন থমকে গেছে ঠিক তখন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ গ্রহণ করেছে বিজনেস কন্টিনিউটি প্ল্যান। প্রযুক্তির সহায়তায় করোনা সচেতনতা, বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা এবং স্বাস্থ্যসেবাসহ সকল ধরনের সেবা দেশের কোটি মানুষের কাছে পৌঁছে গেছে। প্রযুক্তির কল্যাণে আমরা দ্রুত এই করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি। জাতীয় হেল্পলাইন ৩৩৩ এর মতো একটি ফোন সেবার মাধ্যমে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া, স্বাস্থ্যসেবা প্রদান, নিত্যপণ্য সরবরাহসহ সরকারি তথ্য ও সেবা প্রদান করে আসছে। করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত যেকোনো প্রয়োজনীয় পরামর্শ, করোনা সম্পর্কিত সকল সেবার হালনাগাদ তথ্যের জন্য করোনা পোর্টাল তৈরি করা হয়েছে, যার মাধ্যমে কোটি মানুষকে করোনা সম্পর্কিত তথ্য প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্যসেবায় ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে টেলিহেলথ সেন্টার গড়ে তুলতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাথে কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

দেশের সংকটকালীন মূহুর্তে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের সকল শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম গ্রহণে সহযোগিতা করেছি। এই সকল অনলাইন ক্লাসগুলো সংসদ টেলিভিশনসহ সংশ্লিষ্ট সকল যোগাযোগ মাধ্যমে কোটি শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থাও করেছি। এমনকি ভার্চুয়াল কোর্টের মাধ্যমে আমরা বিচারিক কার্যক্রমেও সহযোগিতা করেছি। প্রযুক্তি নির্ভর বাজার ব্যবস্থায় ফুড ফর নেশনের মতো প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সারাদেশের উদ্যোক্তাদেরকে যুক্ত করা হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সরকারি ম্যানুয়াল সেবাকে ডিজিটাল সেবায় রূপান্তরের কার্যক্রমে ইতোমধ্যে ১ হাজারের অধিক নাগরিক সেবা ডিজিটাল সেবায় রূপান্তর করা হয়েছে।

ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের এই দীর্ঘ ১২ বছরের পথচলায় গণমাধ্যমকর্মীদের অসামান্য অবদান রয়েছে। গণমাধ্যমে আপনাদের প্রতিবেদন ছাড়া আজকের এই ডিজিটাল বাংলাদেশ অর্জন কষ্টকর হয়ে পড়তো। তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগ জনগণের সামনে তুলে ধরার ক্ষেত্রে গণমাধ্যম কর্মীদের ভূমিকার স্বীকৃতি হিসেবে এই গণমাধ্যম পুরস্কার প্রবর্তন করা হয়। সাংবাদিকদের সাথে প্রান্তিক জনগণের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে ফলে বিভিন্ন সেবার চাহিদা ও ভালো-মন্দ দিকগুলো খুব ভালো করে জানতে পারেন। সাংবাদিকদের হাত ধরেই ডিজিটাল বাংলাদেশের সফল সেবাগুলো সম্পর্কে জনগণ জানতে পারেন।

আমি আশা করি নাগরিকদের মাঝে সরকারের ডিজিটাল সেবাগুলোর তথ্য আরও বেশি বেশি করে প্রচার করতে গণমাধ্যম কর্মীগণ এগিয়ে আসবেন।

পিআইবি-এটুআই গণমাধ্যম পুরস্কার ২০২১ প্রদান উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য জুনাইদ আহ্‌মেদ‍ পলক এসব কথা বলেন।

 

Please follow and like us:

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button