অমরনাথ
সালসাবিল করিম চৌধুরী::
আমি কোনও চলন্ত ট্রেনের
থেমে যাওয়া বগি নই।
আমি গোবরে জন্মানো কোনও
সবুজ পদ্মপাতাও নই।
আমাকে ক্লান্ত করে,
শ্রান্ত করে তুমি যদি
শান্ত হও, আমার নিরবতাকে
তুমি যদি আমার অহমিকা
অথবা অপারগতা ভাবো
তাতেও আমার ক্ষতি নেই।
আমি অমরনাথে বসে থাকা
শিবের মুখে পার্বতীর মত
অমরত্বের বাণী শুনেছি।
শিবের অমরত্বের গল্প শুনে
অবিনশ্বর দুটো পায়রার ন্যায়
আমিও অমর হয়েছি।
মনে রেখো আমি অনেকবছর
পূন্যের আশায় চীবর দান করেছি।
সুউচ্চ পাহাড় পর্বত পাড়ি দিয়ে
আমি শিব সেবা করেছি
জম্মুর পাদদেশে।
বিনিময়ে আমি সতীদাহের
আগুনে গলিত, বিগলিত হয়ে
রাস্তার অলিতে-গলিতে থাকা
নর্দমার জল হয়েছি।
তবুও আমি তোমাকে
ভালবেসেছি,তোমার ঘ্রাণের নেশায়
দিনের পর দিন মাতাল হয়েছি।
আমার মূল্য আর অধিকারকে আমি
আদালতের চোখ বাঁধা সেই নারীর
রুপে দেখতে চেয়েছি বারংবার।
ক্ষতি নেই, বেসো না ভালো।
আমি জানি ফল দেওয়া গাছ
মানুষ লাগাই ফলের আশায়।
ভালবেসে কতজন লাগায় বলো?
আমি যে ফুলের চারা!
সুঘ্রাণ ছড়াই, আর দেয়ালে শোভা পাই।
তোমার ফলের চারা
আমি কোনদিন হতে চাইনি,
পারিনিও বটে!
লেখকঃ সালসাবিল করিম চৌধুরী, প্রভাষক, ইংরেজি বিভাগ,
নোয়াপাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ এবং কবি ও প্রাবন্ধিক।