শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দিতে নিজেই ক্লাস নিচ্ছেন ইআবি উপাচার্য!
প্রেস বিজ্ঞপ্তি:: ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ বিভিন্ন কামিল মাদ্রাসায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কামিল শ্রেণীর বুখারী ও তিরমিজি শরীফের দারস নিচ্ছেন।
রবিবার সকালে রাজধানীর রহমতে আলম ইসলাম মিশন ট্রাষ্ট পরিচালিত মদিনাতুল মড়েল ইনষ্টিটিউট বালক -বালিকা পৃথক দুটি কামিল (এম,এ) মাদ্রাসা পরিদর্শন করেন, সেখানে
বালিকা মাদ্রাসার কামিল শ্রেণির তিরমিজি শরীফের দারস নেন। এতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্লাসের প্রতি প্রবল আগ্রহ ও চঞ্চলতা সৃষ্টি হয়। কামিল শ্রেণি সহ বিভিন্ন শ্রেণির ছাত্রীরা এই ক্লাসে উপস্থিত ছিলেন। তিরমিজি শরীফের দারসের মাধ্যমে বছরের প্রথম ক্লাস উদ্বোধন করেন হাদিসের এই প্রাজ্ঞ আলেম অধ্যাপক ড মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ।
তিরমিজি শরীফের একটি গুরুত্বপূর্ণ হাদীস বর্ণনার মাধ্যমে তিনি দুইটা বিষয়ে গুরুত্তারোপ করেন।
তা হচ্ছে, নামাজ ও সদকা।
তিনি এই হাদীসটি উপস্থিত সকল শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বর্ণনা করেন। রাসুলে পাক (সা) ইরশাদ করেছেন, ‘পবিত্রতা ছাড়া নামাজ কবুল হয় না। আর খেয়ানতের মাল দ্বারা সাদকা কবুল হয় না।’
তিনি উল্লেখিত হাদিসের ব্যাখ্যা সহ দারস পেশ করেন।
নামাজের ব্যাপারে তিনি বলেন পবিত্রতা ছাড়া নামাজ কবুল হয় না। এ পবিত্রতা বলতে সব ধরনের অপবিত্রতাকে বুঝানো হয়েছে। যে পবিত্রতা অর্জনের জন্য গোসল করা আবশ্যক, তাও এ পবিত্রতার জন্য শমিল। আবার যার অজু নাই, তাও এ পবিত্রতায় শামিল। সুতরাং অজু হোক আর গোসল হোক নামাজের জন্য সার্বিক পবিত্রতা অর্জন জরুরি।
এ কারণেই নামাজের জন্য শরীর, পোশাক, নামাজের স্থান পবিত্র হওয়া জরুরি। শুধু তাই নয়, নামাজ কবুলে হালাল আয়ে অর্জিত সম্পদ দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করাও আবশ্যক। কেননা ইবাদত কবুলের জন্য হালাল আয়-রোজগারকে শর্ত করা হয়েছে।
তিনি উপস্থিত সকল শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে করে বলেন, নিয়মিত ইলম চর্চার জন্য আসাতিজায়ে কেরামদের ক্লাস মনোযোগ সহকারে শুনতে হবে ও অধ্যাবসায়ী হতে হবে।
শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে তিনি সতর্ক করে বলেন, আপনারা জাতি গড়ার কারিগর। আপনাদের জ্ঞান চর্চা ইলম,তাহযিব তামাদ্দুন শিক্ষার্থীদের জন্য অনুকরণীয় হতে হবে। তিনি সকলের সুসাস্থ্য ও দীর্ঘহায়াত কামনা করে দারস সমাপ্ত করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মুজির উদ্দীন, সাবেক অধ্যক্ষ আবু ছালেহ মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম, ট্রাষ্টের তত্তবধায়ক মাওলানা নজরুল ইসলাম, উপাধ্যক্ষ মুহাম্মদ নেছার উদ্দীন, মুহাদ্দিস ড. মুহাম্মদ শহীদুল ইসলাম,ড. আবুল কালাম আজাদ বাশার সহ সর্বস্তরের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীগন।