ফিচার

রাউজানে ফারিকুল সেতু নির্মাণে স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে ৩ ইউনিয়নের মানুষের

ব্যয় হচ্ছে ৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা

আমির হামজা, রাউজান:: একটি সেতু দিয়ে যুগযুগ ধরে চলাচল করছেন তিন ইউনিয়নের মানুষ। উপজেলার পাহাড়তলী, পূর্ব গুজরা ও বাগোয়ান এলাকার জনসাধারণ। দীর্ঘদিন ধরে এই সেতু দিয়ে সহজে যাতায়াত করা গেলেও। গত ৩০ বছর ধরে সেতুটি মানুষের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েন। ঝুঁকি নিয়ে মানুষ পায়ে হেটে চলাচল করলেও, এই সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েন অনেক বছর আগে।

পরে সেতু নিয়ে পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে নজরে আসে রাউজানের সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর। তিনি সাথে সাথে সেতুটি নতুন করে গড়ে তোলার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। তার আন্তরিকতায় কয়েক গ্রামের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্নের ফারিকুল সেতু অবশেষে নির্মাণের কাজ শুরু হওয়া তাদের মনের আশা পূরণ হয়েছে।

এই সেতু বাস্তবায়নে রাউজানের ব্যাপক উন্নয়নের অন্যতম কারিগর সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীকে ও স্থানীয় চেয়ারম্যান মো: রোকন উদ্দিনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তারা জানান স্থানীয় চেয়ারম্যান রোকন উদ্দিনের সার্বিক সহযোগিতা ও রাউজানের সাংসদের আন্তরিকতায় আমাদের ফারিকুল সতুটি নতুন করে নির্মাণ হওয়া আমাদের ৩ ইউনিয়নের মানুষের চলাফেরা আবারও সুযোগ হয়েছে। এই সেতু সংস্কারে অভাবে এলাকার মানুষ দীর্ঘ ৩০ বছর সমস্যায় পড়েন। তারা জানান ২০০৩ সালের পর থেকে এই সেতু ব্যবহারে অনুপযোগী হয়ে পড়েন।

বর্তমানে সেতু হওয়া আনন্দিত গ্রামের নানা শ্রেণি পেশার মানুষ।

তারা বার বার ধন্যবাদ দিচ্ছেন রাউজান এমপিকে। তার উন্নয়নে রাউজানের যে আমুল পরিবর্তন হয়েছে। আমাদের এই ঐতিহ্যেবাহী ফারিকুল সেতু করে দেওয়া তিনি আবারও প্রমাণিত করছেন তিনি উন্নয়নকে ভালোবাসেন।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেতুর কাজ চলছে ব্যাপক জোরেশোরে। ফর্ণফুলী ও হালদা নদীর সংযোগ খালটির উপর ব্রিটিশ আমলের ফারিকুল সেতু বা রাউলি সেতু হিসেবে পরিচিত এই গুরুত্বপূর্ণ সেতু  ভেঙে নতুন করে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণ কাজ করছেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি)।

সেতুর দুই পারে রয়েছে অসংখ্য স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা। সেতু ভেঙে যাওয়া শিক্ষার্থীদের ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয়। অবশেষে দুই পারের শিক্ষার্থীদের কষ্টের অবসান ঘটলো।

এবিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান মো: রোকন উদ্দিন বলেন, এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিলো এই সেতুর জন্য। তাদের দাবি পুরণ হয়েছে। প্রায় ৩ ইউনিয়নের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করার লক্ষ্যে এলজিইডি সেতুটি নির্মান কাজ করছেন। পুরাতন সেতু ভেঙে নতুন ডিজাইনে প্রায় ১৮০ ফুটের বেশি ফারিকুল সেতু নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। সেতু নির্মাণের কাজ শেষ হলে কয়েক এলাকার মানুষের কৃষি কাজ থেকে শুরু করে যোগাযোগ ব্যবস্থা ও স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসার পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের যাতায়াত সহজ হবে। তিনি আরও জানান, সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মসূচির সূফল পুরোপুরিভাবেই পাচ্ছেন পাহাড়তলী ইউনিয়নের মানুষ।

এবিবি/হামজা

Please follow and like us:

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button